ভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (ISPR) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আহমদ শরীফ চৌধুরী শনিবার সন্ধ্যায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা এতদিন সংযম দেখিয়েছি, তবে সেটিকে দুর্বলতা মনে করার কোনো সুযোগ নেই। পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এখন শুধু অপেক্ষা করুন— আমাদের জবাব কী হতে যাচ্ছে, সেটি আপনি মনে রাখবেন চিরকাল।”
এই বিবৃতি এমন সময় এলো, যখন পাকিস্তান অভিযোগ করছে যে ভারতীয় বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) বরাবর নিওলম উপত্যকায় ‘অবৈধ ও উসকানিমূলক’ বিমান হামলা চালিয়েছে। যদিও ভারত এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো হামলার কথা স্বীকার করেনি, তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে— সীমান্তে ‘সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ’ পদক্ষেপ হিসেবে কিছু অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
ডিজি আইএসপিআর বলেন, “যে কেউ পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত হানবে, তার জবাব এমন হবে যা ইতিহাসে লেখা থাকবে।”
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ‘অপারেশন বানিয়ান মারসুস’-এর আওতায় বিমান ও স্থল বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেনা মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত সেক্টরে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মুখপাত্র কর্নেল সুরেশ মেনন বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি। ভারতের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আপস হবে না।”
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, “দক্ষিণ এশিয়ায় সংঘাত আরও গভীর হলে তা বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে। সংলাপ ও কূটনীতির পথ অব্যাহত রাখতে হবে।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের প্রকাশ্য হুঁশিয়ারি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনাকে আরও ঘনীভূত করছে এবং যুদ্ধের সম্ভাবনাকে বাস্তব হুমকিতে রূপান্তর করছে।